মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী::
কুতুবদিয়া উপজেলায় সাতকানিয়ার ব্রিকফিল্ড থেকে কাজ করে আসা ৬৮ জন শ্রমিককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ মে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এবং একইদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দু’দফায় এসব শ্রমিক কুতুবদিয়া প্রবেশের পথে আটকিয়ে তাদেরকে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, করোনার ‘রেড জোন’ হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার ব্রিক ফিল্ডে কাজ শেষ করে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কিছু শ্রমিক কুতুবদিয়া আসার খবর পেয়ে ইউএনও এবং উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক জিয়াউল হক মীর এর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক গিয়ে এসব ব্রিক ফিল্ড শ্রমিকদের আটকিয়ে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন পাঠিয়ে দেন।
ইউএনও জিয়াউল হক মীর জানান, উপজেলা প্রশাসন কুতুবদিয়া প্রতিটি প্রবেশপথে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ভিন্ন উপজেলা থেকে কোন লোক বা দীর্ঘদিন বাইরে থাকা কুতুবদিয়ার লোক কুতুবদিয়া উপজেলার ভৌগোলিক এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলেই তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনে তাদের হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ৬ মে ২৮ জনকে এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় সর্বমোট ২৭৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর এ সংখ্যা জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশী।
ইউএনও জিয়াউল হক মীর আরো জানান, আল্লাহর অসীম রহমতে ৬ মে পর্যন্ত কুতুবদিয়া উপজেলার কোন বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এটা উপজেলা প্রশাসনের সবার সম্মিলিত কর্মের একটা ইতিবাচক ফলাফল বলে মনে করেন, কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর।
পাঠকের মতামত: